ব্রেকিং নিউজ
মাদারীপুরে স্পিডবোটের নারী যাত্রীকে চরাঞ্চলে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষনের অভিযোগ; গ্রেফতার ৪।

মাদারীপুরে স্পিডবোটের নারী যাত্রীকে চরাঞ্চলে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষনের অভিযোগ; গ্রেফতার ৪।

মাদারীপুরে স্পিডবোটের নারী যাত্রীকে চরাঞ্চলে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষনের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, স্পিডবোট চালক ফারুক মিয়া (২০) এবং কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের ফকিরকান্দি গ্রামের তনু মোল্লার ছেলে মাসুদ মোল্লা (২৪), একই গ্রামের রশিদ মৃধার ছেলে মাহাবুল মৃধা (২৯) ও সামাদ হাওলাদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার (২৩)।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে শিবচর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মাদারীপুরের শিবচরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো শেষে স্বামীর কাছে ফিরছিলো ওই গৃহবধু। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট থেকে দ্রুত পাড় করে দেয়ার কথা বলে স্পিডবোটে ওঠায় চালক ফারুকসহ মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদ। পদ্মানদীর মাঝপথে তেল শেষ হলে চালক ফারুক স্পিডবোটটি নোঙ্ঘর করে একটি ট্রলারযোগে তেল আনতে যায়। এ সময় মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদ জোড় করে ওই গৃহবধুকে পদ্মার চরে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে গণধর্ষণ করে। স্পিপবোট চালক তেল নিয়ে আসলে পালিয়ে যায় তিন বখাটে। পরে ওই গৃহবধুকে চালক ফারুক মিয়া তার বাড়িতে নিয়ে আসে।

বুধবার সকালে বিষয়টি শিবচর থানা পুলিশকে অবগত করলে স্পিডবোট চালককে সাথে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে শিবচর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বখাটে মাহাবুল, নুর মোহাম্মদ ও মাসুদকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় স্পিডবোট চালককেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মাদারীপুরের শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ফারুক মিয়া, মাসুদ মোল্লা, মাহবুল মৃধা ও নুর মোহাম্মদ হাওলাদার নামের ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

---------